স্বাস্থ্য শব্দটির অর্থ কেবল শারীরিক সুস্থতা নয়, বরং এটি মানসিক ও সামাজিক সুস্থতাকেও নির্দেশ করে। একটি সুস্থ জীবনযাপন করার জন্য আমাদের কয়েকটি মৌলিক বিষয় মনে রাখতে হবে। প্রথমত, সঠিক খাদ্যাভ্যাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দৈনন্দিন খাবারে ফল, সবজি, শস্যদানা এবং প্রোটিনের সমন্বয় থাকা উচিত। পণ্যজাত খাদ্য এবং অতিরিক্ত চিনির ব্যবহারে সতর্ক থাকা দরকার। পানি পান করাও অপরিহার্য; প্রতিদিন অন্তত ৮ গ্লাস পানি পান করলে শরীর হাইড্রেটেড থাকে।
দ্বিতীয়ত, নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করা স্বাস্থ্যকর জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ। সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিটের মধ্যম মানের শারীরিক কার্যক্রম, যেমন হাঁটা, দৌড়ানো বা সাইক্লিং, আমাদের হৃদযন্ত্রকে শক্তিশালী করে এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী।
তৃতীয়ত, মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেওয়া জরুরি। স্ট্রেস, উদ্বেগ এবং হতাশা আমাদের জীবনকে বিপর্যস্ত করতে পারে। মেডিটেশন, ইয়োগা, বা পছন্দের শখের মাধ্যমে মানসিক চাপ কমানো যেতে পারে।
চতুর্থত, পর্যাপ্ত ঘুম অপরিহার্য। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। ঘুমের অভাব শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
অবশেষে, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে ভুলবেন না। এতে কোনো রোগ বা সমস্যা শীঘ্রই ধরা পড়বে এবং প্রতিকারের সুযোগ থাকবে।
স্বাস্থ্য হচ্ছে জীবনের সবচেয়ে বড় সম্পদ। তাই, স্বাস্থ্যকর অভ্যাসগুলো গ্রহণ করে এক সুখী ও সুস্থ জীবনযাপন করা সম্ভব।