গত ৮ই ফেব্রুয়ারী রোজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় চট্টগ্রামস্থ মিয়াখাঁন নগর, বাকলিয়া স্বনামধন্য ট্যালেন্টপাবলিক স্কুল মিলনায়তনে বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার অংশ হিসাবে ৬ষ্ঠ শ্রেনী হতে দশম শ্রেনী বিভিন্ন শাখার ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে মনোরম পরিবেশে ভিন্ন ভিন্ন সাজে বাঙ্গালিয়ানা শীত কালীন পিঠাপুলির উৎসব সম্পন্ন হয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির সভাপতি লায়ন কবিরুল ইসলামের সভাপতিত্ব, লায়ন ইয়াসমিন কবিরের সঞ্চালনায় কেক কেটে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সমাজ সেবক এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক ডেপুটি মেয়র (ওয়ার্ড কমিশনার) শেখ মোহাম্মদ ফারুক। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় নকমিটির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম নুরুল বশর ভুঁইয়া বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটি তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সচিব লেখক ও গণমাধ্যমকর্মী মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম ও বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ নুরুল আবছার সহ প্রমুখ।

প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন,বাংলাদেশে ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে দেশের আবহাওয়া, জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটে। কার্তিক অগ্রহায়ণ মাস হালকা হিমেল হাওয়া আমাদের জানান দেয় শীতকাল আসতে চলছে। শীতকালে নতুন ধান দিয়ে নবান্ন উৎসব বা বাঙ্গালিয়ানা পিঠাপুলির উৎসব এখন বাঙালির সংস্কৃতির অংশ হয়ে উঠেছে।

মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম বলেন, বাঙালির লোকজ ইতিহাস-ঐতিহ্যে পিঠাপুলির ভূমিকা প্রাচীনকাল থেকে ছিল। তখন থেকে কুয়াশাচ্ছন্ন ভোর বা সন্ধ্যায় গ্রামের বধূরা পিঠা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করতো।শীতে পিঠা পুলির গোড়াপত্তন গ্রামে হলেও এটি বাঙালির শেকড়ের আদি ঐতিহ্য। এক সময় শুধুমাত্র শীতের পিঠার জন্য শহর থেকে গ্রামে যাওয়ার রেওয়াজ ছিল কিন্তু এখন নানাবিধ সমস্যা ও ব্যস্ততার কারনে পরিবারের সবাই মিলে সে পিঠা খাওয়ার উৎসব রীতি নেই বললেই চলে।তিনি আরও বলেন, সংস্কৃতির অন্যতম উপাদান গ্রামীণ সংস্কৃতির পিঠাপুলি উৎসব। আজ আমাদের নাগরিক জীবন যান্ত্রিকতায় আবদ্ধ হয়ে পড়ছে, আর সংকীর্ন হয়ে পড়ছে আমাদের মানবিকবোধ। মানবিক বোধকে সচল রাখতে,ভালোবাসার বন্ধনকে জাগ্রত করতে এই ধরনের আয়োজনের কোন বিকল্প নেই। তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।

এ কে এম নুরুল বশর সুজন বলেন,পিঠা উৎসব শুধু একটি উৎসব নয়,এটা নাগরিক জীবনের যান্ত্রিকতার মাঝে নির্মল আনন্দের অন্যতম খোরাক বটে। নাগরিক ও ভোগ বাদী সমাজের সংস্কৃতিতে এই ধরনের উৎসব আবহমান বাংলার সংস্কৃতির আদি চিরন্তন রূপ তাহা আমাদের মাঝে তুলে ধরে। পরিশেষে সভাপতি লায়ন মোঃ কবিরুল ইসলাম সকল কে সার্বিক ভাবে সহযোগিতার করার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ও ধন্যবাদ জানান।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন