গণসংহতি আন্দোলন এর ২১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকা উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা শাখা ১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার সকাল ১০.৩০ মিনিটে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেদ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। জেলা সমন্বয়কারী হাসান মারুফ রুমী’র সভাপত্বিতে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রধান সমন্বয়কারী জননেতা জোনায়েদ সাকি । এতে আরো বক্তব্য রাখেন ডা. শাহাদাত হোসেন আহ্বায়ক, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জবিউল হোসেন স্থায়ী কমিটির সদস্য, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল – জেএসডি অ্যডভোকেট কফিল উদ্দিন আহ্বায়ক, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা এলডিপি, সেলিম নূর সদস্য সচিব, ভাসানী অনুসারী পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন চট্টগ্রাম জেলার যুগ্ম সমন্বয়কারী ডা: অপূর্ব নাথ, যুগ্ম সমন্বয়কারী মোজফফর আহম্মেদ , নির্বাহী সমন্বয়কারী ফরহাদ জামান জনি প্রমুখ । আলোচনা সভা পরিচালনা করেন গণসংহতি আন্দোলন চট্টগ্রাম জেলার যুগ্ম সমন্বয়কারী এড. ফাহিম শরীফ খান। আলোচনা সভায় বক্তরা বলেন, এই ফ্যাসিবাদী শাসক গোষ্টি বাংলাদেশ রাষ্ট্র কাঠামোকে নানাভাবে ধ্বংস ও বিপর্যস্ত করে ফেলেছে । রাষ্ট্রের প্রতিটা প্রতিষ্ঠান দলীয় করণের মধ্যে দিয়ে তারা দুর্নীতি, লুঠপাট জারি রেখেছে । তারা ক্ষমতায় ঠিকিয়ে রাখার জন্য পুলিশী থেকে শুর” করে সমস্ত রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে। বিরোধী দলকে দমন করার জন্য তারা সুবিধামত সংবিধানও সংশোধন করছে। গত ১৫ বছর ধরে জনগণের সমস্ত গণতান্ত্রিক অধিকারকে খর্ব করেছে । যারাই ভিন্ন মত পোষণ করছে তাদেরকে গুম করা হচ্ছে, গ্রেফতার করা হচ্ছে। ভিন্ন পোষণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বক্তব্য দেয়ার কারণে তারা স্কুল পড়–য়া বাচ্চা থেকে শুরু ৬০ উর্ধ্ব বয়সী ব্যাক্তিদের গ্রেফতার করছে, নির্যাতন করছে। এই ফ্যাসিবাদী শাসক এই প্রক্রিয়া জারি রেখে আরেকটা নির্বাচন করার পাঁয়তারা করছে । বক্তা আরো বলেন, আজকে এই শাসক গোষ্ঠি পুরোপুরি মুক্তিযুদ্ধের বিপরীতে অবস্থান করছে। তারা লাখো শহীদের রক্তের প্রতি বেঈমানি করে আজকে দেশ পরিচালনা করছে। আজকের পরিস্থিতির অবসান হওয়া দরকার তার জন্য প্রয়োজন জনগণের ঐক্যবদ্ধ লড়াই। জনগণের এই ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে একটা জনগণের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা হওয়া সম্ভব । প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে জোনায়েদ সাকি বলেন, এই ফ্যাসিবাদী আওয়ামী শাসক জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে ভয় পেয়ে গেছে। তারা জনগনের আন্দোলনকে দমণ করা জন্য তাদের সর্বশক্তি প্রয়োগ করছে। পুলিশ দিয়ে, মামলা দিয়ে তারা জনগণকে ভয়ের মধ্যে রাখতে চাই। যুগপৎ ধারার আন্দোলনকৃত দলগুলোর বাহিরেও যাদের কে তারা হুমকি মনে করছে তাদেরও হয়রানীমূলক মামলা দিচ্ছে, গ্রেফতার করছে। এই শাসক গোষ্ঠি আরেকটি দিন ক্ষমতা থাকা মানে বাংলাদেশের জনগণের দূর্ভোগ আরেকটা দিন বৃদ্ধি পাওয়া। আমরা বাংলাদেশের জনগণের অধিকার নিশ্চিত করতে চাই তার জন্য দরকার রাষ্ট্র সংস্কার। এই রাষ্ট্র সংস্কারের অন্যতম প্রধান শর্ত হচ্ছে একটা গণতান্ত্রিক নির্বাচন ব্যবস্থা, যেটা এই ফ্যাসিবাদী শাসকের অধীনে সম্ভব না। আমরা যুগপৎ ধারার আন্দোলন করছি এই ফ্যাসিবাদী শাসক গোষ্টির পদত্যাগের। এই আন্দোলন বাংলাদেশের সমস্ত গণতান্ত্রিকামী জনগণকে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানাই । গণসংহতি আন্দোলন জনগণের শক্তির উপর ভরসা ও বিশ্বাস করে ।