ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগীর জন্য অতি প্রয়োজনীয় খাবার – ভিডিও

দেশে প্রতিনিয়ত ডেঙ্গুজ্বরের প্রকোপ বাড়ছে। একারনে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগীর খাদ্যাভাস নিয়ে চিন্তিত প্রায় সবাই। সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অনেক বেড়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক ও মধ্যবয়স্করা এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। আমরা জানি, প্রত্যেকটি জ্বরে ক্যালরির চাহিদা বেড়ে যায়। যেহেতু ডেঙ্গুজ্বরে আমাদের ক্যালোরির চাহিদা বেড়ে যায়, কাজেই ক্যালোরিযুক্ত খাবার আমাদের খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে।

ডেঙ্গুজ্বরের পুষ্টি ও খাদ্যাভাসটা আমাদেরকে নির্বাচন করতে হবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই সহজপাচ্য খাবার নির্বাচন করতে হবে। ডেঙ্গুজ্বরে প্লাজমা লিকেজ একটু বেশি হয়। অনেক সময় দেখা যায়, লিভার তার কার্যকারিতা ঠিকমতো পরিচালনা করতে পারে না। এজন্য সহজপাচ্য খাবার যেমন, নরম ভাত বা জাউ ভাত ও তরল খাবার বিশেষ করে ডাবের পানি, স্যুপজাতীয় খাবার খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। সারাদিনের খাদ্য তালিকায় ফ্লুইডের পরিমাণ পানিসহ তিন লিটার পর্যন্ত রাখলে ভালো হয়। এ ছাড়া যদি রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। আইভি ফ্লুইডের সঙ্গে মুখে তরল খাবার দিতে হবে।

ডেঙ্গুজ্বরে যেহেতু প্লাজমা লিকেজ একটু বেশি হয়। সেক্ষেত্রে ইলেক্ট্রোলাইট ইমব্যালেন্স হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এজন্য আমাদের খাদ্য তালিকায় ডাবের পানি, বেলের শরবত এবং খাবার স্যালাইন একটু বেশি রাখতে হবে। এ ছাড়া প্লাটিলেট কমে গেলে ডালিমের রস ও বিভিন্ন ফলের রস জাতীয় খাবার আমাদের খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

ডেঙ্গুজ্বরের প্রধান লক্ষণ হচ্ছে ডায়রিয়া। এজন্য ফ্লুইড ইমব্যালেন্স বেশি হয়ে যায়। কাজেই তরল খাবারের সাথে এমন খাবার রাখতে হবে যা আমাদের প্লাটিলেট বাড়াবে এবং হিমোগ্লোবিন বাড়াবে। খাবারগুলো হচ্ছে–কমলার রস, ডালিমের রস এবং ভিটামিন ‘সি’ যুক্ত খাবার। পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি খেতে হবে। আর যদি ডেঙ্গুজ্বরে দেহের ত্বকে র‍্যাশ ওঠে, তাহলে অ্যালার্জিযুক্ত খাবার কমিয়ে ফেলতে হবে, যেমন গরুর মাংস, ইলিশ মাছ ও বেগুন জাতীয় খাবার।’ তিনি আরও বলেন, ‘ডেঙ্গুজ্বরে খাবার হজম করতে একটু সমস্যা হয়। তাই এ সময় অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খাবার বন্ধ করতে হবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.