এ বছরের মে মাসে বন্ধ হওয়া মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার আবারও বাংলাদেশের জন্য খুলতে যাচ্ছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম ১৮ হাজার শ্রমিক নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছেন। এর মধ্যে যারা সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেও নির্ধারিত সময়ে কাজে যোগ দিতে পারেননি, তাদেরকে প্রথম ধাপে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন আনোয়ার ইব্রাহিম।
আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, “আমরা পুরো বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি এবং অত্যন্ত স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এগিয়েছি। আমাদের শ্রমিক প্রয়োজন, তবে তাদের আধুনিক দাস হিসেবে দেখা যাবে না। আমি আগেও এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কথা বলেছি।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “আপনারা যখন আমাদের কাছে ৭ হাজার বা তারও বেশি শ্রমিকের বিষয়ে বিবেচনা করতে অনুরোধ করেছেন, যারা নিবন্ধন করেও রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং অভ্যুত্থানের কারণে মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি, আমি সেই অনুরোধ তাৎক্ষণিকভাবে বিবেচনা করেছি।”
সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক ইউনূস মনে করিয়ে দেন যে এই সংখ্যা ১৮ হাজার হওয়ার কথা। তখন আনোয়ার ইব্রাহিম জানান, প্রথম ধাপে ৭ হাজার শ্রমিক পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে, এবং সবকিছু সন্তোষজনক হলে বাকি শ্রমিকদেরও পর্যায়ক্রমে নেওয়া হবে।
শ্রমিক নিয়োগের প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে কঠোর নিয়ম মেনে চলার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে বলে উল্লেখ করেন আনোয়ার ইব্রাহিম। তিনি বলেন, “ওই ১৮ হাজার শ্রমিক সব ধরনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে এবং কাজে যোগ দিতে না পারা তাদের দোষ নয়। তাই প্রয়োজনীয় সমন্বয় এবং পরিবর্তন করা আমাদের দায়িত্ব।”
চলতি বছরের মে মাসে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ৩১ মে পর্যন্ত নতুন ও পুরনো বিদেশি কর্মীদের কাজে যোগ দেওয়ার সময়সীমা বেঁধে দেয়। তবে বিমানের টিকেটের স্বল্পতাসহ বিভিন্ন কারণে প্রায় ১৮ হাজার বাংলাদেশি সেই সময়সীমার মধ্যে যেতে পারেননি।
এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকার মালয়েশিয়া সরকারকে ওই শ্রমিকদের নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে আসছিল। অবশেষে সংক্ষিপ্ত সফরে ঢাকায় এসে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম এ আহ্বানে সাড়া দেন।
