ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থানকে অভিনন্দন জানিয়ে এবং আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের সারা দেশে সংগঠিত হওয়া সাম্প্রদায়িক হামলা, ভাষ্কর্য ভাঙচুর, পাঠাগার ধ্বংস সহ লুটপাটের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা ও বিচারের দাবিতে চট্টগ্রামে সাংস্কৃতিক সমাবেশ ও পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (০৯ আগস্ট) বিকেল চারটায় চট্টগ্রাম নগরীর জামালখানস্থ প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে পদযাত্রার শুরু করে চট্টগ্রামের সামাজিক সাংস্কৃতিককর্মী, বিভিন্ন পাঠাগারের সংগঠকরা।
পদযাত্রাটি প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে শুরু করে নগরীর নিউমার্কেট গোলচত্বরে শেষ হয়। পদযাত্রা শেষে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।এসময় বক্তব্য রাখেন সাংস্কৃতিক কর্মী ইন্দ্রাণী ভট্টাচার্য সোমা,আইনজীবি এড.চন্দন দাশ, ডাঃ ঋষিন দস্তিদার, জয়দেব কর,শিক্ষক জিহান করিম,এড. বিশুময় দেব,পাঠাগার সংগঠক জাহেদ আহমেদ প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ৫ই আগস্ট বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচারী সরকারের পতনের হয়েছে।ছাত্র জনতা শুধুমাত্র স্বৈরাচারী হাসিনার পতনের জন্য বুকের রক্ত দেয়নি,বুকের রক্ত দিয়েছে বাংলাদেশের বুক হতে স্বৈরাচারী ব্যবস্থাকে চিরতরে বিদায় করে একটি বৈষম্যহীন,গণতান্ত্রিক,দমন-পীড়নমুক্ত রাষ্ট্রের জন্য।ফলে ছাত্র-জনতার এ লড়াই এখনও সমাপ্ত হয়নি।ছাত্র জনতার এই বিজয়কে নস্যাৎ এবং কলঙ্কিত করার জন্য বাংলাদেশের একটি কুচক্রী মহল মানুষের জান মালের ক্ষয়ক্ষতি, সাম্প্রদায়িক হামলা,ভাস্কর্য ভাঙচুর,জনগণের সম্পদ নষ্টের মতো জঘন্য কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে। অনতিবিলম্বে এই হামলা ও নৈরাজ্য বন্ধ করতে আমরা অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি জানাই।একইসাথে সাম্প্রদায়িক হামলা-নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে জনগণের প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানান।
এসময় বক্তব্য রাখেন সাংস্কৃতিক কর্মী ইন্দ্রাণী ভট্টাচার্য সোমা,আইনজীবি এড.চন্দন দাশ, ডাঃ ঋষিন দস্তিদার, জয়দেব কর,শিক্ষক জিহান করিম,এড. বিশুময় দেব,পাঠাগার সংগঠক জাহেদ আহমেদ প্রমুখ।
এছাড়া চট্টগ্রামের ক্ষুদিরাম পাঠাগার, সূর্যসেন পাঠাগার অগ্নিবীণা পাঠাগার এবং পথিকৃৎ পাঠাগারের সদস্য এবং সাধারণ জনসাধারণ পদযাত্রায় অংশ নেন।