বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে প্রতীক্ষিত উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু হয়েছে। বছরব্যাপী সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এই উৎসবের অপেক্ষায় থাকেন, যা তাঁদের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক জীবনের অন্যতম প্রধান আয়োজন।বুধবার (৯ অক্টোবর) সকাল ৬টায় মণ্ডপে মণ্ডপে বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে ষষ্ঠী পূজার মাধ্যমে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। পাশাপাশি, ঐতিহ্যবাহী চণ্ডীপাঠ ও বেলতলার দেবীর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উৎসবের সূচনা ঘটে। এই পাঁচ দিনব্যাপী উৎসবের প্রথম দিনে চলছে ঢাকের বাদ্য, শঙ্খধ্বনি ও আনন্দমুখর পরিবেশে ষষ্ঠী পূজা।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) পালিত হবে সপ্তমী পূজা, শুক্রবার (১১ অক্টোবর) অষ্টমী পূজা এবং শনিবার (১২ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত হবে মহানবমীর পূজা। পঞ্জিকা মতে, এবছর মহানবমীর পূজার পরই দশমী বিহিত পূজা অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশের ৩১,৪৬১টি মন্দির ও মণ্ডপে এবার দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে, যা দেশের সনাতন সম্প্রদায়ের বৃহত্তম উৎসবগুলোর অন্যতম।
সনাতন শাস্ত্র অনুযায়ী, দেবী দুর্গার এবারের আগমন হবে দোলায় বা পালকিতে, যার ফলশ্রুতিতে মড়কের পূর্বাভাস রয়েছে। খাদ্যশস্যে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ ও রোগবালাই বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। দেবীর গমন হবে ঘোটকে বা ঘোড়ায়, যা সামাজিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতার ইঙ্গিতবাহী।
উল্লেখ্য, ২ অক্টোবর মহালয়ার মধ্য দিয়ে দেবীপক্ষ ও শারদীয় দুর্গোৎসবের পুণ্যলগ্নের সূচনা হয়, যা বাঙালি হিন্দুদের জন্য নতুন আশার প্রতীক।