অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সিদ্ধান্ত ও ক্রীড়াঙ্গনে প্রভাব
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সিদ্ধান্ত ও ক্রীড়াঙ্গনে প্রভাব

গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। দায়িত্ব নেওয়ার পর মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে জেলা-বিভাগীয়, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা এবং মহিলা ক্রীড়া সংস্থার কমিটি ভেঙে দেন।

২১ আগস্ট, কমিটি ভাঙার পর একটি অ্যাডহক কমিটি গঠনের রুপরেখা প্রণয়ন করা হয়। এই নির্দেশনায় জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয় জেলা প্রশাসকদের এবং বিভাগীয় কমিশনাররা দায়িত্ব নেন বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সভাপতির। তবে কিছু জেলায় প্রশাসনিক পরিবর্তনের কারণে নতুন কমিটিগুলো এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয়নি। ফলে স্থানীয় পর্যায়ের ক্রীড়াঙ্গনে স্থবিরতা বিরাজ করছে।

একযোগে ৪২ ফেডারেশন সভাপতির অব্যাহতি

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একযোগে ৪২ ফেডারেশনের সভাপতিকে অব্যাহতি প্রদান করে। এর আগে কাবাডি, ব্রিজ, এবং দাবা ফেডারেশনের সভাপতিদেরও সরিয়ে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, অনেক ফেডারেশনের সভাপতিরা সরকার থেকে মনোনীত ছিলেন, যাদের বেশিরভাগেরই ক্রীড়া সংশ্লিষ্টতা ছিল না।

বিসিবিতে রদবদল ও ফারুক আহমেদের দায়িত্ব গ্রহণ

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর আত্মগোপনে চলে যান। তাঁর পদত্যাগের পর সাবেক জাতীয় অধিনায়ক ফারুক আহমেদ বিসিবির নতুন সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন। এছাড়া বিসিবির এনএসসি কোটার দুই পরিচালক পদত্যাগ করেন, যেখানে নতুন পরিচালকদের মনোনয়ন দেওয়া হয়।

বাফুফে নির্বাচন ও কাজী সালাউদ্দিনের সরে দাঁড়ানো

৫ আগস্ট সরকার পতনের পর বাফুফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের পদত্যাগ দাবিতে সমর্থক ও সাবেক ফুটবলাররা আন্দোলন করেন। যদিও শুরুতে তিনি পঞ্চম মেয়াদে নির্বাচনের ঘোষণা দেন, পরবর্তীতে আকস্মিকভাবে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন