গাজীপুর জেলা শহরের কৃপাময়ী কেন্দ্রীয় কালীমন্দিরে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই নেতা গুলিবিদ্ধ এবং আরও একজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনা ঘটে সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুর ১:৩০ টার দিকে মহানগরের জয়দেবপুর রেলগেট এলাকায়। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন মহানগর যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম এবং ২৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির উপদেষ্টা সাবেদ তালুকদার। তাদেরকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া, যুবদল নেতা অলিউল্লাহ তুহিন চাপাতির কোপে গুরুতর আহত হয়েছেন এবং তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় বিএনপি নেতারা জানান, দুর্গাপূজা উপলক্ষে গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম মঞ্জুরুল করিম (রনি) অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। কিন্তু তিনি বর্তমানে দেশের বাইরে থাকায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহানগর সদর থানার সভাপতি মেহেদী হাসান, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, বিএনপি নেতা জি এস সুরুজ আহমেদ, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর হান্নান মিয়া এবং মহানগর কালীমন্দিরের সদস্যসচিব বাপ্পি দে।
অনুষ্ঠানের শেষের দিকে অতিথিরা চলে যান। এরপর কালীমন্দিরের বাইরে রেলক্রসিং এলাকায় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী নেতাকর্মীদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার এবং পূর্বশত্রুতার কারণে তর্কবিতর্ক শুরু হয়। এক পর্যায়ে সদর থানার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুলের অনুসারী যুবদল নেতা অলিউল্লাহ তুহিনের সাথে মহানগর বিএনপির নেতা মোফাজ্জল হোসেনের অনুসারী স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা খন্দকার রুবেল ও রাজু সাহার মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে এবং গুলি চলতে থাকে। এর ফলে অলিউল্লাহ তুহিন চাপাতির আঘাতে এবং শফিকুল ইসলাম ও সাবেদ তালুকদার গুলিবিদ্ধ হন। আশপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।
মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক কাউন্সিলর হান্নান মিয়া হান্নু জানান, “দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিভিন্ন মণ্ডপে অর্থ বিতরণের অনুষ্ঠানটি জয়দেবপুর রেলগেট সংলগ্ন কালীমন্দিরে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। অনুষ্ঠানের শেষে মন্দির এলাকার বাইরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাহেদুল ইসলাম বলেন, “আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন গুলিবিদ্ধসহ তিনজন আহত হয়েছেন।”
এর আগে ৩০ আগস্ট রাতে জেলা শহরের ছায়াবিথীর হাক্কানী এলাকায় একই দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে সৌরভ গ্রুপের ফাহিম (২২) নামে একজন যুবক নিহত হন।