ডোনাল্ড ট্রাম্প, যিনি ক্ষমতায় আসলে অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত করার হুমকি দিয়েছেন, তার রাজনৈতিক অবস্থান বরাবরই দখলদার ইসরাইলের পক্ষে। অন্যদিকে, কমলা হ্যারিস গাজায় যুদ্ধ বন্ধ এবং ফিলিস্তিনিদের অধিকারের পক্ষে আওয়াজ তুলেছেন। তবুও, ট্রাম্পের মন একেবারেই নাড়া দেয় না গাজায় নিরীহ বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের কান্না; বরং, তিনি ক্ষমতায় এলে ইসরাইলিদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। সম্প্রতি ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি নিজেকে ইসরাইলের রক্ষক হিসেবে দাবি করেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার পরাজয় হলে ইহুদি আমেরিকান ভোটারদের জন্য মারাত্মক পরিণতি অপেক্ষা করছে। তিনি সতর্ক করেন যে, দুই বছরের মধ্যে ইসরাইলের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যেতে পারে, কারণ আমেরিকান ইহুদিদের মধ্যে কমলা হ্যারিসের প্রতি সমর্থন বাড়ছে। ট্রাম্প দাবি করেন, হ্যারিস জয়ী হলে ফিলিস্তিনিদের জয় হবে এবং ইসরাইল পৃথিবীর মানচিত্র থেকে মুছে যাবে। তিনি বলেন, “যদি আমি জয়ী না হই, এমনটাই মনে হচ্ছে,” এবং উপস্থিত শ্রোতাদের সাথে একমত প্রকাশ করেন।
অন্যদিকে, কমলা হ্যারিস যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হলে ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনের মধ্যে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানে জোর দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গেছে, আমেরিকান ইহুদিদের মধ্যে রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প এর চেয়ে কমলার পক্ষে সমর্থন বেশি। ওই জরিপে, ডেমোক্র্যাট কমলা হ্যারিসকে ৬৫ শতাংশ এবং ট্রাম্পকে ৩৪ শতাংশ সমর্থন দেওয়া হয়েছে।