প্রথমবারের মতো একটি ক্যাসিনো প্রতিষ্ঠানকে জুয়ার ব্যবসার লাইসেন্স দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক উইন রিসোর্টস এই লাইসেন্সটি পেয়েছে। শুক্রবার উইন রিসোর্টসের পক্ষ থেকে লাইসেন্সপ্রাপ্তির খবরটি জানানো হয়। দীর্ঘদিন ধরেই ক্যাসিনো অপারেটররা আমিরাতে একটি রিসোর্ট নির্মাণের চেষ্টা করে আসছিল। এবার তাদের সেই প্রচেষ্টা বাস্তব রূপ নিচ্ছে। খালিজ টাইমসের একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এই লাইসেন্সের অনুমতির জন্য গত বছর প্রতিষ্ঠিত হয় ‘জেনারেল কমার্শিয়াল গেমিং রেগুলেটরি অথরিটি’। এই অথরিটি প্রথমবারের মতো একটি ক্যাসিনোর জন্য লাইসেন্স জারি করল।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ৬২ হেক্টর এলাকাজুড়ে আরব উপসাগরে বিস্তৃত এই বিলিয়ন ডলারের প্রকল্পটি ২০২৭ সালের শুরুর দিকে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হবে। উইন রিসোর্টস জানিয়েছে, তারা রাস আল খাইমা অঞ্চলের উইন আল মারজান দ্বীপে একটি বিলাসবহুল অবকাশকেন্দ্র নির্মাণ করছে, যেখানে প্রতিষ্ঠিত হবে আরব আমিরাতের প্রথম ক্যাসিনো।
সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতে কিছু উদার আইনগত সংস্কার করা হয়েছে, যা পর্যটন, ব্যবসা এবং অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে ইউরোপ, এশিয়া এবং অন্যান্য অঞ্চল থেকে পর্যটকদের সংখ্যা বৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি করেছে। এই সংস্কারগুলো দেশটির বাণিজ্যিক পরিবেশকে আরও উন্নত করবে এবং আন্তর্জাতিক পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে সহায়তা করবে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এমজিএম রিসোর্টসও আবুধাবিতে তাদের একটি অবকাশকেন্দ্রে ক্যাসিনো লাইসেন্স দেওয়ার জন্য আবেদন করেছে। এই সমস্ত পদক্ষেপ থেকে দেখা যাচ্ছে, সংযুক্ত আরব আমিরাত আন্তর্জাতিক পর্যটন এবং বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে নিজেদের আরও সুদৃঢ় করতে চাচ্ছে।
ক্যাসিনো শিল্পের এই প্রবৃদ্ধি আরব আমিরাতে অর্থনৈতিক পরিবর্তনের নতুন একটি অধ্যায় উন্মোচন করবে। এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানে এটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। বিশেষ করে যুব সম্প্রদায়ের জন্য নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, যা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এই উদ্যোগের ফলে, আরব আমিরাত হতে পারে বিশ্বমানের বিনোদন কেন্দ্র, যেখানে পর্যটকরা শুধু দর্শনীয় স্থানই নয়, বরং ক্যাসিনো এবং অন্যান্য বিনোদনমূলক কার্যক্রমের স্বাদও গ্রহণ করতে পারবেন। এটি তাদের পর্যটন খাতকে আরও সমৃদ্ধ করবে এবং বৈশ্বিক মানচিত্রে দেশটির অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের সরকার আশা করছে যে, এই নতুন পদক্ষেপগুলো দেশটির অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা ও বৈচিত্র্য আনবে এবং আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের জন্য আকর্ষণীয় একটি গন্তব্য হয়ে উঠবে।