আগামীকাল বাংলাদেশ-ভারত তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামতে যাচ্ছে। ম্যাচটি গোয়ালিয়রের শ্রীমন্ত মাধবরাও সিন্ধিয়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে, যা সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শুরু হবে। তবে, এই ম্যাচটি ঘিরে নিরাপত্তার হুমকির কারণে প্রশাসন সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই নিশ্চিত করেছে যে, ম্যাচের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ২৫০০ পুলিশ মোতায়েন করা হবে। সম্প্রতি বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কিছুটা জটিল হয়ে উঠেছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে, এমন অভিযোগে অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা এবং অন্যান্য কয়েকটি সংগঠন বাংলাদেশ দলের ওপর হামলা চালানোর ঘোষণা দিয়েছে। তাদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ বাতিলের জন্যও বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়েছে। এই পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে গোয়ালিয়র প্রশাসন নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ম্যাচের আগে স্থানীয় জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আগামী সোমবার পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উসকানিমূলক প্রচারণার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। এছাড়া, দর্শক এবং ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ২,৫০০’র বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হবে।
বাংলাদেশ দলের খেলা বাতিল করতে কট্টরপন্থী সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে হুমকির পর প্রশাসন কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য মাঠে উপস্থিত থাকবে। খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার জন্য, তারা যেসব হোটেলে অবস্থান করছেন, সেগুলোও নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে।
গোয়ালিয়র জোনের ইন্সপেক্টর জেনারেল অরবিন্দ সাক্সেনা এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ-ভারত দিন পুলিশ সদস্যরা বেলা ২টা থেকে রাস্তায় অবস্থান করবে। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর দর্শকরা বাড়ি ফিরে যাওয়া পর্যন্ত তারা দায়িত্ব পালন করবে।” তিনি আরও জানান, নিষেধাজ্ঞার পর নজরদারি জোরদার করা হয়েছে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তদারকি করা হচ্ছে।
প্রশাসনের এই প্রস্তুতি বাংলাদেশ দলের নিরাপত্তার পাশাপাশি খেলার মাঠে দর্শকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। ম্যাচে আসা দর্শকরা যেন নিরাপদে খেলা উপভোগ করতে পারে, সে বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসন সচেষ্ট।
এদিকে, বাংলাদেশ দলও এই ম্যাচের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। খেলোয়াড়রা জানাচ্ছেন, তারা মাঠে গিয়েই নিজেদের সেরাটা দিতে প্রস্তুত। তারা এই ম্যাচকে একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিচ্ছেন এবং নিজেদের সেরা খেলা উপহার দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন।
ভারতের বিপক্ষে এই ম্যাচটি বাংলাদেশ দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ফলে, নিরাপত্তা ব্যবস্থা সঠিকভাবে পরিচালনা করা জরুরি, যাতে খেলা নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠিত হয় এবং উভয় দলের খেলোয়াড় এবং দর্শকরা নিরাপদে মাঠে উপস্থিত থাকতে পারেন।