শনিবার দুপুর ২:১৫ টায় তারা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় প্রবেশ করেন। বিএনপির প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে রয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রতিনিধিদলে আরো আছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও সালাউদ্দিন আহমেদ। রাষ্ট্র সংস্কার কার্যক্রম শুরুর আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সরকারের তৃতীয় দফার বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এর আগে বিএনপি নেতারা উল্লেখ করেছিলেন যে, ২০২৩ সালের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী রাজনৈতিক দলের সামনে ৩১ দফার রাষ্ট্র সংস্কার প্রস্তাবনা উপস্থাপন করা হয়েছে। এতে নির্বাচন কমিশনসহ নির্বাচনের পূর্বে প্রয়োজনীয় সংস্কারের বিস্তারিত উল্লেখ রয়েছে, পাশাপাশি নির্বাচনের পর রাষ্ট্রের জন্য কি ধরনের সংস্কার করা হবে তাও ব্যাখ্যা করা হয়েছে। বৈঠকে ৩১ দফার মধ্যে নির্বাচন পূর্ববর্তী সংস্কারগুলো তুলে ধরা হবে এবং আগামী নির্বাচনে অন্তর্বর্তী সরকারের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য জানতে চাওয়া হবে।
এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, রাষ্ট্র সংস্কারের প্রস্তাব নিয়ে দলের মধ্যে আলোচনা চলছে। জনগণের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার বিষয়টি অবশ্যই আলোচনায় থাকবে।
বৈঠক শেষে, বেলা ৩টায় জামায়াতে ইসলামীও প্রধান উপদেষ্টার সাথে আলোচনা করবে। এ ছাড়া বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতাদেরও আলোচনা করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকে উপদেষ্টা পরিষদের সাথে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের দু’দফা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সর্বশেষ ৩১ আগস্ট এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল। শনিবার থেকে নতুন দফার আলোচনা শুরু হচ্ছে, যার মূল বিষয় হবে ছয় সংস্কার কমিশনের কার্যক্রমের অগ্রগতি এবং দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা।