রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার সীমান্ত থেকে ২ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। চারঘাট উপজেলার পদ্মা নদী এর মধ্য জলসীমা থেকে একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকাসহ তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ওই ২ বাংলাদেশি জেলেকে মুর্শিদাবাদ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ। এই ঘটনায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পক্ষ থেকে বিএসএফকে পতাকা বৈঠকের প্রস্তাব পাঠান হয়েছে। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা পর্যন্ত বিএসএফ পতাকা বৈঠক সংক্রান্ত কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি। ধরে নিয়ে যাওয়া ২ বাংলাদেশি জেলে হলেন—চারঘাট উপজেলার চক মুক্তারপুর গ্রামের জেলে মানিক উদ্দিন শেখ (৩৫) ও মোফাজ্জল হোসেন শেখ (৪০)। তাদের ২ জনকে রাজশাহীর চারঘাট সীমান্তের পদ্মার মধ্য জলসীমা থেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরপাড়া থানা-পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে বিএসএফ।
বাংলাদেশের জলসীমা থেকে ধরা হলেও তাদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ভারত সীমান্তে অনুপ্রবেশের অভিযোগ আনা হয়েছে। এরপর তাদেরকে মুর্শিদাবাদের লালবাগ কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
রাজশাহী বিজিবি ১ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মতিউল ইসলাম মণ্ডল জানিয়েছেন, ওই জেলেরা গত ২ অক্টোবর পদ্মা নদী তে বাংলাদেশের জলসীমাতেই মাছ ধরছিলেন। তবে নদীর প্রবল স্রোতে জেলে নৌকাটি ভারতীয় জলসীমার কয়েকশ গজ ভেতরে ভেসে যায়। তখন বিএসএফ ৭৩ ব্যাটালিয়নের অধীনে থাকা ভারতের কাকমারী সীমান্ত ফাঁড়ির একটি টহল দল তাদেরকে আটক করে। পরে তাদেরকে সেখানকার থানা-পুলিশের কাছে সোপর্দ করে বিএসএফ।
এই ঘটনার খবর পেয়ে পতাকা বৈঠকের জন্য বিএসএফের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো জবাব আসেনি। তারা সাড়া দিলে এ ব্যাপারে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
পদ্মা নদী ছাড়াও এর আগে গত বুধবার (২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার সীমান্ত থেকে ২ ভারতীয় নাগরিককে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে আটক করে বিজিবি ১ ব্যাটালিয়ন সদস্যরা। আটক ২ ভারতীয় নাগরিককে চারঘাট থানায় হস্তান্তরের পর বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) তাদেরকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।