ইয়েমেনে সরাসরি হামলা করে ইসরাইল?
ইয়েমেনে সরাসরি হামলা করে ইসরাইল?

সরাইলের সাম্প্রতিক সামরিক কর্মকাণ্ড এবং মধ্যপ্রাচ্যে তাদের আগ্রাসী ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে, বিশেষ করে ইয়েমেনে হুদাইদা বন্দর নগরীতে ইসরাইলি হামলার পর। ইসরাইল দিনকে দিন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে, এবং যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পেয়ে ফিলিস্তিন, লেবানন, ও সিরিয়ায় একের পর এক হামলা চালাচ্ছে। বর্তমানে ইসরাইলের লক্ষ্য হয়েছে ইয়েমেন, যা আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ইসরাইলি বাহিনী হুদাইদার তেল ও জ্বালানি ডিপোতে একটি বড় ধরনের বিমান হামলা চালিয়েছে, যা ইয়েমেনের স্থানীয় সূত্রের মাধ্যমে জানা গেছে। রবিবার এই হামলায় আকাশে ধোঁয়ার কুন্ডলী দেখা যায়, যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং ভিডিওটি দ্রুত ভাইরাল হয়। হুথি গোষ্ঠীর তিনটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পর ইসরাইল এই প্রতিশোধমূলক হামলা চালিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আল মায়েদিন টিভির রিপোর্ট অনুযায়ী, এই হামলার ফলে হুদাইদার বেসামরিক বন্দর এবং বিদ্যুৎ কেন্দ্রে মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে, তেলের ট্যাংকে আগুন ধরে যায়, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।

এই হামলা ইয়েমেনের রাজনৈতিক এবং সামাজিক স্থিতিশীলতাকে গুরুতর প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। ইয়েমেনের জনগণ বছরের পর বছর ধরে চলা সংঘাতের শিকার হয়ে আছে, এবং এই নতুন আক্রমণের ফলে তাদের ভবিষ্যৎ আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে এখন প্রশ্ন উঠছে, এই সংঘাতের প্রভাব কতদূর বিস্তৃত হবে এবং কীভাবে এটি সামলানো যাবে। জনমনে উদ্বেগ আরও বেড়েছে, কারণ এই হামলা মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতিকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলেছে।

ইসরাইলের বিরুদ্ধে ইয়েমেনের সামরিক প্রতিক্রিয়াও আন্তর্জাতিক মনোযোগ কাড়ছে। ইসরাইলের রাজধানী তেল আবিবের বেনগুরিয়ান বিমানবন্দরে ইয়েমেনের পক্ষ থেকে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়, যা মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। ইয়েমেনের সামরিক মুখপাত্র জানিয়েছে, ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানাতে এবং গাজা ও লেবাননের বিরুদ্ধে ইসরাইলের আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়া জানাতে এই হামলা চালানো হয়েছে। ইয়েমেনের গোষ্ঠীটি স্পষ্ট করেছে যে, গাজা ও লেবাননের ওপর ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধ না হলে তাদের প্রতিরোধ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এই পরিস্থিতির মধ্যে আরও এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হলো হিজবুল্লাহর শীর্ষ নেতা হাসান নাসরুল্লাহর মৃত্যুর একদিন পর ইয়েমেনে ইসরাইলি হামলা। এই ঘটনার পর মধ্যপ্রাচ্যের সংকট আরও জটিল ও অস্থির হয়ে উঠেছে। ইসরাইলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে, কারণ বেনগুরিয়ান বিমানবন্দরের আকাশসীমায় ক্ষেপণাস্ত্র প্রবেশের সময় সাইরেন বাজানো হয়েছিল।

মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি এখন আগের চেয়ে আরও বিপজ্জনক ও অস্থিতিশীল। এই নতুন সংকট কি আরও ভয়াবহ আকার নিতে চলেছে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। ইয়েমেনের এই ঘটনা এবং ইসরাইলের ক্রমবর্ধমান আগ্রাসী ভূমিকা নিয়ে বিশ্ব সম্প্রদায়ও গভীরভাবে চিন্তিত।

পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বললেন ‘অ্যাকশনে’ যেতে

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন