কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নইমুদ্দিন সেন্টুকে (৬০) গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে তার নিজ অফিস কক্ষে গুলি করে হত্যা করা হয়। স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, নইমুদ্দিন সেন্টু আগে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও পরবর্তীতে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। দৌলতপুর থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) খসরু আলম ঢাকা ট্রিবিউনকে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
খসরু আলম বলেন, “সোমবার বেলা ১১টার দিকে ফিলিপনগর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। তবে কে-বা কারা গুলি করে হত্যা করেছে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।”
এ বিষয়ে জানতে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোন নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সোমবার সকালে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ের নিজ কক্ষে বসে কাজ করছিলেন নইমুদ্দিন। বেলা ১১টার দিকে চেয়ারের পেছনে থাকা জানালা দিয়ে দুর্বৃত্তরা তাকে কয়েক রাউন্ড গুলি করে। গুলির শব্দে স্থানীয়রা ছুটে গেলে তাদেরকেও লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এ ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে চেয়ারম্যানের লোকজন ইউনিয়ন পরিষদ এলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় ফিলিপনগর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. রাশিদুল ইসলাম ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, “ঘটনার সময় আমি ইউনিয়ন পরিষদে ছিলাম না। স্থানীয়দের বরাতে শুনতে পাই, চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। পরিষদ ভবনের নিচ তলায় তার অফিস কক্ষের পেছনের জানালা দিয়ে তাকে গুলি করা হয়।”
দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা বলেন, “চেয়ারম্যান নইমুদ্দিন সেন্টু এক সময় উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ছিলেন। দীর্ঘদিন তিনি নিরপেক্ষ ছিলেন। রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।”