Site icon দৈনিক পূর্বদেশ | বাংলা নিউজ পেপার

চট্টগ্রাম নগরী : ৩ মাসেও ঠিক হয়নি সড়ক

চট্টগ্রাম নগরী : ৩ মাসেও ঠিক হয়নি সড়ক

চট্টগ্রাম নগরী : ৩ মাসেও ঠিক হয়নি সড়ক

জুলাই মাসের শুরুতে টানা এক সপ্তাহের বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরী এর অলিগলি এবং বিভিন্ন সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বৃষ্টি, জোয়ার এবং জলাবদ্ধতার কারণে সড়কে বড়-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে, যা এখনো মেরামত করা সম্ভব হয়নি। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) এসব ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক মেরামতের জন্য একটি তালিকা প্রস্তুত করেছে, কিন্তু প্রথম দিকে টানা বৃষ্টি এবং পরবর্তীতে বিটুমিন সংকটের কারণে সড়কের এই ক্ষত সারাতে পারছে না। বর্তমানে এসব সড়কে দুর্ঘটনা এবং সাধারণ মানুষের চলাচলে ভোগান্তি সৃষ্টি হচ্ছে। তবে, বিটুমিন সংকট কেটে যাওয়ায় চসিক জানিয়েছে, শনিবার থেকে কার্পেটিং কাজ শুরু হবে এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে তা শেষ হবে।

গত বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, চট্টগ্রাম নগরী এর দুই নম্বর গেট সংলগ্ন পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সড়কের দুই পাশে অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। কিছু গর্তে কংক্রিট দিয়ে ভরাট করা হলেও, অনেক গর্ত থেকে কংক্রিট উঠে গিয়ে সড়কগুলো বড় ক্ষততে পরিণত হয়েছে। বিশেষত সিডিএ এভিনিউ থেকে মুরাদপুর পর্যন্ত সড়কটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। শুলকবহরের এশিয়ান হাউজিংয়ের কাছে ১০০ মিটার দীর্ঘ সড়কে প্রায় অর্ধশত গর্ত দেখা গেছে। এসব ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক মেরামত না হওয়ায় গাড়িচালক এবং যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

জিইসি, এ.কে. খান এবং নিমতলা সড়কের অবস্থাও একই রকম। এখানে গভীর গর্তের চারপাশে কোনো নিরাপত্তাবেস্টনি নেই, ফলে যানজট লেগে থাকে এবং যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন। বিশেষ করে ফ্লাইওভারের র‌্যাম্প নির্মাণ কাজের কারণে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এই সড়কগুলোতে বন্দরের ট্রাক যাতায়াতের জন্য অনেক চাপ রয়েছে, ফলে প্রায় অর্ধকিলোমিটারজুড়ে দীর্ঘ যানজট দেখা যাচ্ছে।

চট্টগ্রাম নগরী এর এ কে খান মোড় থেকে জিইসির দিকে যেতে গেলে দেখা যায়, রাস্তার এক তৃতীয়াংশ জুড়ে গর্ত রয়েছে। এখানে নিরাপত্তার কোনো ব্যবস্থা নেই এবং নিয়মিত দুর্ঘটনা ঘটছে। বিশেষ করে ওয়াসার সোয়ারেজ প্রকল্পের কাজের কারণে সড়কের একটি পাশ বন্ধ থাকার কারণে যানবাহনের চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে।

জুলাই মাসের প্রথম দিকে টানা বৃষ্টিতে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় প্রায় এক লাখ ২০ হাজার বর্গমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চসিক সূত্রে জানা যায়, নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে মোট ১ লাখ ২১ হাজার ৮১৪ বর্গমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, কিন্তু মাত্র ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ সড়ক মেরামত করা সম্ভব হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কারণে সাধারণ ছুটি, কারফিউ, বৃষ্টি এবং বিটুমিনের অভাবের ফলে সড়ক মেরামতের কাজ থমকে যায়।

চসিকের প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মো. শাহীন উল ইসলাম চৌধুরী জানান, দীর্ঘদিনের বৃষ্টির কারণে কার্পেটিং করা সম্ভব হয়নি। বিটুমিন সংকটের কারণে সড়ক ঢালাইয়ের কাজ করতে পারছিল না। তবে বর্তমানে পর্যাপ্ত বিটুমিন পাওয়া গেছে এবং শনিবার থেকে কার্পেটিং কাজ শুরু হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রধান সড়কগুলো এবং চার সপ্তাহের মধ্যে অলিগলিসহ অন্যান্য সড়কগুলো মেরামত করা সম্ভব হবে।

Exit mobile version