সেনা কর্মকর্তা তানজিম সারোয়ার হত্যার প্রধান আসামি গ্রেফতার
সেনা কর্মকর্তা তানজিম সারোয়ার হত্যার প্রধান আসামি গ্রেফতার

কক্সবাজারের চকরিয়ায় সেনা কর্মকর্তা তানজিম সারোয়ার হত্যার মূল হোতা দুর্ধর্ষ ডাকাত নাসির উদ্দিন ও তার সহযোগী ইনামকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী। তাদের কাছ থেকে দুটি দেশীয় বন্দুক এবং গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত দুজনকে আদালতে হাজির করেছে পুলিশ। গত ২৩ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে চকরিয়া উপজেলার দুলাহাজারা ইউনিয়নের পূর্ব মাইজপাড়া এলাকায় একটি ডাকাতির ঘটনা ঘটে। মাছ ব্যবসায়ী কর্মীর বাড়িতে এই ডাকাতির খবর পেয়ে যৌথবাহিনী একটি অভিযানে যায়। অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন লেফটেন্যান্ট তানজিম সারোয়ার। যৌথবাহিনী রাত সাড়ে তিনটার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং ডাকাতদের ধাওয়া করে। লেফটেন্যান্ট তানজিম তৎক্ষণাৎ নাসির উদ্দিনকে আটক করেন, তবে তার সহযোগী দুই থেকে তিনজন ডাকাত লেফটেন্যান্ট তানজিমকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। হাসপাতালে নেওয়ার আগেই লেফটেন্যান্ট তানজিম মারা যান।

এই ঘটনার পর পুলিশ ও যৌথবাহিনী একসঙ্গে কাজ শুরু করে। অবশেষে শুক্রবার ভোর রাতে চকরিয়ার কাহারিয়া ঘোনা এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা নাসির উদ্দিন এবং তার সহযোগী ইনামকে গ্রেপ্তার করা হয়। যৌথবাহিনী জানায়, নাসির উদ্দিনই সেনা কর্মকর্তা তানজিমের গলায় ছুরির আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে, এবং তাকে সহায়তা করে ইনামুল হক। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে বনদস্যুতা ও ডাকাতির একাধিক মামলা রয়েছে।

এই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এখন পর্যন্ত প্রধান আসামী মোহাম্মদ বাবুল ওরফে বাবুল ডাকাতসহ নয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ ও যৌথবাহিনী জানিয়েছে, এই ডাকাত দলের অন্যান্য সদস্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এই হত্যাকাণ্ড চকরিয়াসহ পুরো কক্সবাজার অঞ্চলের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নতুন উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। সেনা কর্মকর্তার তানজিম সারোয়ার নির্মম হত্যাকাণ্ড আইন-শৃঙ্খলার অবনতির একটি প্রকট উদাহরণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। প্রশাসন এবং যৌথবাহিনীকে আরও সক্রিয়ভাবে এই ধরনের অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে। প্রচলিত আইনে আটককৃতদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে, যাতে আইন-শৃঙ্খলার ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের মধ্যে যে ভীতি তৈরি হয়েছে, তা দূর হয়।

সেনা কর্মকর্তা তানজিম সারোয়ার এর হত্যা তদন্তে যৌথবাহিনী ও পুলিশ একযোগে কাজ করছে। ঘটনাস্থলে পাওয়া তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে মামলার তদন্ত চলছে, এবং শিগগিরই অপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন