বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ স্কুলছাত্র জুনায়েদের মৃত্যু
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ স্কুলছাত্র জুনায়েদের মৃত্যু

বগুড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ স্কুলছাত্র জুনায়েদের মৃত্যু

বগুড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত স্কুলছাত্র জুনায়েদ ইসলাম ওরফে রাতুল (১৩) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাতটার দিকে ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। জুনায়েদ ইসলাম বগুড়ার উপশহর এলাকার পথ পাবলিক স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল। তার বাবা জিয়াউর রহমান জানান, “পুলিশের ছোড়া চার শতাধিক গুলি নিয়ে দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে হাসপাতালে যন্ত্রণায় কাতর ছিল আমার ছেলে। বেঁচে থাকার অনেক চেষ্টা করেছে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত হেরে গেছে।”

জিয়াউর রহমান আরও জানান, জুনায়েদ শুরু থেকেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল। ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর ছাত্র-জনতার বিজয় মিছিলে যোগ দিয়েছিল সে। বিকেল ৪টার দিকে শহরের বড়গোলা থেকে সাতমাথা যাওয়ার পথে পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয় জুনায়েদ। শটগানের এলোপাতাড়ি গুলি তার মাথা ও শরীরে বিদ্ধ হয়। প্রথমে তাকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়, পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। অবশেষে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

জুনায়েদের লাশ বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জানাজার জন্য নেওয়া হয়। জানাজা শেষে লাশ বগুড়ার হাকির মোড় এলাকায় তার বাসায় নিয়ে যাওয়া হবে এবং পরে নামাজগড় আঞ্জুমান গোরস্তানে দাফন করা হবে।


“বগুড়ায় ছাত্র আন্দোলন”, “গুলিবিদ্ধ স্কুলছাত্র”, “বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন”,  “জুনায়েদের মৃত্যু”

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন