ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ
ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান সাক্ষাৎ করেছেন। রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

এই সাক্ষাতের উদ্দেশ্য ছিল দুই পক্ষের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক উন্নয়ন এবং দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা। অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের মধ্যে বিষয়গুলো নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। এমন সৌজন্য সাক্ষাৎ দেশের শীর্ষ পর্যায়ে একত্রিত হওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা সরকারের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে সাহায্য করবে।

গত ১২ আগস্ট রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায়ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। তখন থেকেই উভয় পক্ষের মধ্যে সহযোগিতা ও সমন্বয় বাড়ানোর লক্ষ্যে আলোচনা চলমান রয়েছে।

এদিকে, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্ক যাচ্ছেন। সেখানে তিনি ২৭ সেপ্টেম্বর সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। এই অধিবেশনে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিষয়াদি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হবে, যা বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন সংকট মোকাবেলায় সহযোগিতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।

অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। তাঁর বক্তব্য ও কার্যক্রম বিশ্বব্যাপী বিশেষজ্ঞ মহলে বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন কার্যক্রমে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।

এখন দেখার বিষয়, ইউনূসের এই সফর বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে কীভাবে নতুন গতি দেয়। সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে তাঁর ভাষণ বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও বেশি করে তুলে ধরবে বলেও আশা করা হচ্ছে।

সাক্ষাতের পর প্রধান উপদেষ্টা ও সেনাপ্রধানের মধ্যে যে আলোচনা হয়েছে, তার মাধ্যমে দেশে নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং সরকারের কার্যক্রমের সমন্বয়ে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। সরকারের বিভিন্ন নীতিমালা বাস্তবায়নে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা দেশের সার্বিক উন্নয়নে সহায়ক হবে।

এই সাক্ষাতের মাধ্যমে দেশের শীর্ষ পর্যায়ে রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃত্বের মধ্যে সমন্বয় ও সহযোগিতা বৃদ্ধির একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো। অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপট আরও উজ্জ্বল হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কারণে।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন