ভাতের হোটেলের ম্যানেজার খ্যাত ডিবির হারুন মার ধরে শিকার হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ডিএমপির একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানায় ডিএমপি পুলিশের নিজস্ব হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে হারুনের ছবি দেখা গেছে। তিনি অসুস্থ অবস্থায় সিএমএচ এ ভর্তি ছিলেন এরপর ছবিটি ডিলিট করে দেওয়া হয়। হারুনের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে এখনো পরিষ্কার জানা না গেলেও তিনি ঢাকাতেই আছেন বলে জানতে পেরেছি। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশের বিভিন্ন থানায় সাবেক ডিবি প্রধান হারুন আর রশিদের বিরুদ্ধে ৩৮ টি মামলা হয়েছে। এত মামলা হওয়ার পরও পুলিশ কর্মকর্তা হারুন আর রশিদ এখনো পর্যন্ত গ্রেপতার হলেন না কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে নানা মহলে। অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্ন করেছে ডিবি হারুন এখন কোথায় আছেন। তিনি কি দেশে আছেন? তিনি কি জীবিত নাকি মৃত বিষয়টি নিয়ে পুলিশের একাধিক সূত্র থেকে জানা যায় হারুন ও রশিদ এখনো জীবিত এবং দেশেই অবস্থান করছেন। সরকার পতনের পর দেশ থেকে পালানোর চেষ্টা করেন কিন্তু ব্যর্থ হয়ে দেশেই অবস্থান করছেন
বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে এখনো পরিষ্কার জানা না গেলেও তিনি ঢাকাতেই আছেন বলে জানতে পেরেছি । আরেকটি সূত্র জানায় সরকার পতনের পরদিন অর্থাৎ গত ৬ই আগস্ট হারুন অর রশিদের whatsapp নম্বরে ফোন দেওয়া হলে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন, সেদিন হারুন জানান তিনি দেশেই আছেন বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করেননি। ৬ আগস্ট তিনি অফিসেও গিয়েছিলেন বলে দাবি করেন। পরদিন ৭ আগস্ট থেকে পুলিশের এই কর্মকর্তার কোন হদিস পাওয়া যায়নি। একাধিক সূত্রে জানা গেছে হারুন অর রশিদকে ৮ থেকে ১০ আগস্টের মধ্যে মারধর করা হয়েছিল পুলিশের কিছু অফিসার। সিভিল পোশাকে তাকে মারধর করেছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। পুলিশ কমান্ড এন্ড কন্ট্রোল সেন্টারের সামনে এ ঘটনা ঘটে এবং পরে হারুনকে গুরুতর আহত অবস্থায় সিএমএচে ভর্তি করা হয়। গত ২৬ জুলাই ছাত্র আন্দোলনের সময় আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে ডিবি হেফাজত নেওয়া হয়েছিল সেখানে তাদের নির্যাতন করা হয় এবং পরে তাদের দিয়ে জোর করে আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণাপত্র পড়ানো হয় বলে অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনার পর হারুনকে সমালোচনার মুখে ৩১ জুলাই ঢাকা থেকে বদলি করা হয়।
হারুন অর রশিদ কে নিয়ে বিভিন্ন তথ্য ফাঁস হয়েছে যার মধ্যে একটি ফোন রেকর্ডে তিনি বলেন আমরা সরকারের দাস সরকারের নির্দেশে আমাদের সব করতে হয় । এছাড়া একটি রেকর্ডে হারুন বলেন, সমন্বয়কদের ধরার নির্দেশ উর্ধতন কর্তৃপক্ষের। সরকার পতনের পর হারুনের পালানোর বিষয়ে দুটি সূত্রের মধ্যে একটিতে বলা হয় যে তিনি পুলিশ সদর দপ্তরে দেওয়াল টোপকে বের হয়ে রিক্সায় চড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান। অন্যটি জানায় যে তিনি বিমানবন্দরে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু ব্যর্থ হন