পুলিশ সংস্কার কমিশন প্রধান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের থেকে তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে। কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন জানিয়েছেন, তথ্য সংগ্রহ শেষ হওয়ার পর শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে সংস্কার কার্যক্রম শুরু হবে।রোববার সচিবালয়ে কমিশনের সদস্যদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক অনানুষ্ঠানিক বৈঠক শেষে তিনি এই তথ্য জানান। সফর রাজ বলেন, আনুষ্ঠানিক কাজ শুরুর জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদের জোগান দেয়া হচ্ছে এবং দ্রুত কার্যক্রম শুরু হবে।
কমিশন প্রধান উল্লেখ করেন, এই উদ্যোগে সংশ্লিষ্ট সবার মতামত গ্রহণ করা হবে। সময়ের স্বল্পতা বিবেচনা করে, জনসাধারণের মতামত নেওয়ার জন্য একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার পরিকল্পনাও রয়েছে। তিনি জানান, দেড়শো বছরের পুরনো পুলিশ আইনের কিছু ধারা সংস্কারের সুপারিশ করা হবে।
সফর রাজ আরও বলেন, পুলিশ বাহিনী বর্তমানে ১৮৬১ সালের পুরনো পুলিশ আইন ও ১৯৪৩ সালের পুলিশ প্রবিধানের ভিত্তিতে কাজ করছে, যা সেকেলে এবং সময়োপযোগী পরিবর্তন করা হয়নি। আইন সংশোধনের প্রক্রিয়ার জন্য পুলিশ অফিসার, বিশেষজ্ঞ, আইনজীবী, সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট সবার মতামত নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন প্রস্তুতের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, ৩ অক্টোবর সরকার পুলিশ সংস্কার কমিশনসহ ছয়টি সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের জন্য গেজেট প্রকাশ করে। সাবেক সচিব সফর রাজ হোসেনের নেতৃত্বাধীন পুলিশ সংস্কার কমিশনের সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইকবাল, সাবেক বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ হারুন চৌধুরী, পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক শেখ সাজ্জাদ আলী, সাবেক ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল মো. গোলাম রসুল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শাহনাজ হুদা, মানবাধিকার কর্মী এএসএম নাসিরউদ্দিন এলান এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি। – কমিশন প্রধান