বৈষম্যবিরোধী ঐক্য কর্মচারী ফোরামের পাঁচ দফা দাবি আদায়ে ঘোষিত কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। শনিবার সংগঠনটির সমন্বয়ক এবিএম আব্দুস সাত্তার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোখলেস উর রহমান এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আকমল হোসেন আজাদসহ কয়েকজন অতিরিক্ত সচিব ও যুগ্ম সচিবের দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে তাদের অপসারণের দাবি জানিয়ে রোববার একটি শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে সরকারের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে তিনজন উপদেষ্টার সমন্বয়ে বৈষম্যবিরোধী ঐক্য একটি ‘তদন্ত কমিটি’ গঠন করা হয়েছে, যা দাবি প্রেক্ষিতে ইতিবাচক সাড়া হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। সংগঠনটি সরকারের এই তাৎক্ষণিক পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, এই তদন্ত কমিটির প্রতি পূর্ণ আস্থা রেখে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বর্তমান পদ থেকে অপসারণ এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির প্রত্যাশায় কর্মসূচি সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
কর্মচারীদের ৫ দফা দাবি হলো: ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার কর্তৃক নিয়োগকৃত সব চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ এবং বিতর্কিত ব্যক্তিদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। ৫ আগস্টের আগে নিয়োগপ্রাপ্ত সব সচিব ও বিভাগীয় প্রধানদের অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।সম্প্রতি নিয়োগকৃত ৪২ জন বিতর্কিত জেলা প্রশাসককে অবিলম্বে প্রত্যাহার করে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নতুন জেলা প্রশাসক নিয়োগ দিতে হবে।
এছাড়া, সম্প্রতি ১৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিধিবহির্ভূতভাবে গৃহীত প্রশাসনিক ব্যবস্থা বাতিল করার পাশাপাশি বিগত ১৫ বছরে বঞ্চিত কর্মকর্তাদের জন্য পদোন্নতির অবিলম্বে জারির প্রজ্ঞাপন দাবি করা হয়েছে।