টানা ১৬টি আক্রমণ: পালাচ্ছে ইসরাইলি সেনারা!
টানা ১৬টি আক্রমণ: পালাচ্ছে ইসরাইলি সেনারা!

ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষের একটি নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, যেখানে ইসরায়েলি সামরিক অবস্থানগুলোতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা এবং হিজবুল্লাহর প্রতিরোধ মিলে এক মারাত্মক যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে, পালাচ্ছে ইসরাইলি সেনা। হিজবুল্লাহ ইরানের নির্দেশনায় ও সহায়তায় কাতিউশা রকেট, ড্রোন, ফালাক-২ এবং ফালাক-৪ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে আঘাত হানে। এই হামলায় ইসরায়েলি সেনা ব্যারাক, মোসাদ হেডকোয়ার্টার, এবং সামরিক ঘাঁটিসমূহ কিছুই রেহাই পায়নি।

হিজবুল্লাহ দাবি করেছে, তারা একদিনে ইসরায়েলের ১৬টি স্থানে হামলা চালিয়েছে। ইরানের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সমন্বিত এই আক্রমণগুলো ইসরায়েলের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে নড়বড়ে করে দিয়েছে। বিশেষ করে লেবাননের দক্ষিণে ইসরায়েলি সেনা প্রতিরোধ যোদ্ধাদের দ্বারা বাধার মুখে পিছু হটতে বাধ্য করা হয়। হিজবুল্লাহর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তারা ইসরায়েলের সোলা এবং মাতলা সাইটে কামানের গোলা ছুড়েছে এবং রকেট হামলার মাধ্যমে ইসরায়েলি সেনাদের বড় ক্ষতি করেছে।

ইসরায়েলি সামরিক স্থাপনা এবং বিশেষ করে আভিম ও রোশপিনা সেটেলমেন্টে হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা প্রচণ্ড রকেট হামলা চালায়। দুভেব ব্যারাকও হিজবুল্লাহর ফালাক-২ ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে কেঁপে উঠে। তাদের সামরিক গোয়েন্দা ইউনিট ও তেল আবিবের মোসাদ হেডকোয়ার্টারেও হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। এরপর হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা তেল আবিবের সেদে দোফ বিমানবন্দরে ফাদিফোর ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে, যা সামরিক ও বেসামরিক দুই উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হতো।

গোস্তান এলাকা এবং তার আশেপাশের বসতিগুলোতে ব্যাপক রকেট হামলার সাইরেন বেজে ওঠে। হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা তাবারায়া ও দখলকৃত শহরের মধ্যবর্তী স্থানে সুনির্দিষ্টভাবে হামলা চালিয়ে ইসরায়েলি সেনা ও স্থলবাহিনীকে চাপে ফেলে। প্রতিরোধ যোদ্ধারা ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে তাদের শক্ত অবস্থান বজায় রেখে লাগাতার আক্রমণ করে যাচ্ছে। ইসরায়েলি আক্রমণের বিরুদ্ধে এই সংঘর্ষে হিজবুল্লাহ প্রতিটি ফ্রন্ট লাইনে থেকে সফল প্রতিরোধ গড়ে তুলছে।

এই সংঘাতের মূল কারণ হিসেবে ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড (আইআরজিসি) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অপরাধের জবাব দেওয়ার প্রতিশোধ হিসেবে হামলা চালিয়েছে। বিশেষ করে, তেহরানে ফিলিস্তিনি নেতা ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার প্রতিশোধ এবং বৈরুতে হিজবুল্লাহ নেতা সায়েদ নাসরুল্লাহ ও আইআরজিসি জেনারেল আব্বাস নীল ফরুশানের হত্যার প্রতিশোধ নিতেই ইরান এই তীব্র হামলার সূচনা করেছে।

ইরান ও হিজবুল্লাহর এই প্রতিরোধ আক্রমণ ইসরায়েলের সামরিক শক্তির বিপক্ষে শক্তিশালী বার্তা হিসেবে কাজ করেছে। ইসরায়েলের জন্য এই সংঘাত বিশাল ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, যেখানে আকাশ থেকে ক্ষেপণাস্ত্রের বৃষ্টি, রকেট হামলা, এবং ড্রোন আক্রমণ দেশটির সামরিক ঘাঁটিগুলোকে ভয়ানক চাপে ফেলেছে।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন