আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হেরে গেলে ২০২৮ সালে পুনরায় নির্বাচনে অংশগ্রহণের সম্ভাবনা নাকচ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প গত রোববার এক সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে কথা বলেন। তিনি জানান, “না, আমি করব না। আমি মনে করি, সেটাই হবে। আমি একেবারেই তেমনটা দেখতে পাচ্ছি না।”
৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী ৫ নভেম্বরের নির্বাচনে সফল হওয়ার আশা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “আশা করি, আমরা খুব সফল হতে যাচ্ছি।” আসন্ন নির্বাচনে তার প্রতিপক্ষ ডেমোক্র্যাটিক পার্টির কমলা হ্যারিস, যিনি বর্তমানে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। জনসমর্থনের দিক থেকে ট্রাম্প ও কমলার মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে।
আগামী নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে শুরুতে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নাম ছিল। কিন্তু গত জুন মাসে ট্রাম্পের সঙ্গে অনুষ্ঠিত নির্বাচনী বিতর্কে বাইডেন চাপে পড়েন এবং পরে তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে কমলাকে সমর্থন দেন। এরপর থেকেই মার্কিন ভোটারদের মধ্যে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রতি সমর্থন বৃদ্ধি পেয়েছে।
ট্রাম্প ২০২০ সালের নির্বাচনে বাইডেনের কাছে পরাজিত হওয়ার পর তাঁর পরাজয় মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি নির্বাচনের ফলাফলকে ‘চুরি’ হওয়ার দাবি করেন এবং এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ট্রাম্পের সমর্থকরা মার্কিন কংগ্রেস ভবনে হামলা চালান, যার উদ্দেশ্য ছিল নির্বাচনের ফলাফল বন্ধ করা।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনের ফলাফল স্বীকৃতির বিষয়ে নিঃশর্তভাবে অঙ্গীকার করার ব্যাপারে একাধিকবার অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। এ অবস্থায়, আসন্ন নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে তার প্রতিক্রিয়া কেমন হবে, সেটাই এখন প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মার্কিন রাজনৈতিক অঙ্গনে ট্রাম্পের এই বক্তব্য নতুন আলোচনার সৃষ্টি করেছে। অনেকেই মনে করছেন, তার নির্বাচন নিয়ে এমন মন্তব্য তার রাজনৈতিক অবস্থানকে নতুন করে বিবেচনা করতে পারে। ভোটারদের মধ্যে ট্রাম্পের প্রতি যে উন্মাদনা রয়েছে, তা আগামী নির্বাচনে কি রূপ নেবে, সেটিও দেখার বিষয়।
ট্রাম্পের বক্তব্যের পর বিভিন্ন মিডিয়া এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মন্তব্য করছেন, তার সম্ভাব্য বিজয়ের আশা এবং আগামী নির্বাচন নিয়ে যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, তা কিভাবে তার রাজনৈতিক ভবিষ্যতকে প্রভাবিত করতে পারে। ট্রাম্পের উপর চাপ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ভবিষ্যৎ নির্বাচন প্রক্রিয়ার নানা দিক নিয়েও আলোচনা শুরু করেছেন।
এইসব পরিস্থিতিতে, মার্কিন নির্বাচনী রাজনীতিতে ট্রাম্পের ভূমিকা এবং তার উত্থান-পতন ভবিষ্যতে কেমন হবে, তা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হয়ে উঠেছে।